
আরপিও সংস্কার ছাড়াও এদিন রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা নিয়ে আলোচনা হবে ইসিতে।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংস্কারের একগুচ্ছ সুপারিশ চূড়ান্ত করতে মুলতবি বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বেলা ১১টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সভা শুরু হয়।
চার নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ও ইসি সচিব আখতার আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত রয়েছেন।
এ দিনের আলোচ্যসূচিতে আছে-
- রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫।
- গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (আরপিও, সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫।
- বিবিধ।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিনভর আলোচনায় কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলেও আরপিও নিয়ে কমিশন আগাতে পারেনি।
নির্বাচন কমিশার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, সেদিন কমিশন সভায় তিনটি বিষয় আলোচ্য ছিল। সেগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক দল ও দল আচরণ বিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে; আগামী সপ্তাহে তা চলবে বলে জানিয়েছিলেন এ নির্বাচন কমিশনার।
আরপিও সংশোধন প্রস্তাবের মধ্যে সংস্কার কমিশনের সুপারিশসহ একগুচ্ছ প্রস্তাবনা পযালোচনা করা হয়েছে। ছোটোখাটো সংস্কারসহ প্রায় তিন ডজন সংশোধন থাকতে পারে। প্রবাসীদের পোস্টাল ব্যালটের বিষয়টিও যুক্ত করা হবে এ সংশোধনীতে।
এছাড়া আচরণবিধিতে এআই সংশ্লিষ্ট অপব্যবহার রোধে বিধিনিষেধ যুক্ত করা হতে পারে।
নির্বাচন কমিশন বলেছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে তাও আরপিও তে যুক্ত করা হতে পারে।
আইনি সংস্কারের প্রস্তাবনা ইসি যখন অনুমোদন দেবে তারপরই সরকারের কাছে পাঠাবে ইসি সচিবালয়।
নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবন চূড়ান্ত হলে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হবে। এরপর তা উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। সরকারের সায় পেলে আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হবে।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রোজা শুরুর আগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেওয়ার পরদিন গত ৬ অগাস্টে তার দপ্তর থেকে এ চিঠি দেওয়া হয়।
আর এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানানোর আনুষ্ঠানিকতা সারা হয়।
এখন নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট দিনতারিখসহ তফসিল ঘোষণা করবে। ডিসেম্বরের শেষার্ধে এই তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে বলে ইতোমধ্যে ইংগিত দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।