২০শে আগস্ট, ২০২৫, ৫ই ভাদ্র, ১৪৩২

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ইসলামিয়া হাসপাতাল বাংলাদেশ, রায়েরবাগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ইসলামিয়া হাসপাতাল বাংলাদেশ, রায়েরবাগ কর্তৃক আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন অদ্য ৩০ এপ্রিল বুধবার বিকাল ৫:০০ টায় অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামিয়া হাসপাতাল বাংলাদেশ এর মাননীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হাসনাত মোঃ মোরতাজা । উক্ত ফ্রি ক্যাম্পে ০১লা মে সকাল ৮:০০ টা থেকে দিনব্যাপী ইমার্জেন্সি, ডেন্টাল ও ফিজিওথেরাপি ডিপার্টমেন্টে ফ্রি তে রোগী দেখা হবে এবং ফ্রি তে ব্লাড গ্রুপিং করা হবে। এছাড়াও সকল বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগন ১লা মে বিশেষ ছাড়ে রোগী দেখবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ডাক্তার খলিল উল্লাহ ও কোয়ালিটি এডুকেশন কলেজ এর সভাপতি জনাব কবির আহমেদ। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক যথাক্রমে জনাব মুস্তাফিজুর রহমান, জনাব আবুল বারাকাত, জনাব আবু জাফর মোঃ সালেহ, জনাব গাজী মোঃ আব্দুস শাকুর, জনাব কামাল হোসেন, জনাব মুহিব্বুল্লাহ, কর্পোরেট অফিস ইনচার্জ দিদার উল আলম প্রমুখ। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে শ্রমিকদের তাদের কাজের ন্যায্য মজুরি নির্ধারন, একটি নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করনে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, শ্রমিকগন হচ্ছে হাদিসের ভাষায় আল্লাহর বন্ধু, তাই শ্রমিকদের অধিকার সংরক্ষনে মালিকগনকেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। তিনি শ্রমিক দিবসে মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন করায় ইসলামিয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে মোবারকবাদ জানান। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতথ্য ও প্রচার বিভাগইসলামিয়া হাসপাতাল বাংলাদেশ

ইসলামিয়া হাসপাতাল বাংলাদেশ, রায়েরবাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সম্প্রতি ইসলামিয়া হাসপাতাল বাংলাদেশের কর্পোরেট অফিসে দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আবুল হাসনাত মোঃ মোরতাজা। তিনি হাসপাতালের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে প্রতিটি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর দায়িত্বশীলতা ও পেশাদারিত্ব বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করে স্বাস্থ্য সেবাকে এবাদত হিসেবে নিতে কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রতি অনুরোধ করেন।  কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন হাসপাতালের মেডিকেল ডাইরেক্টর ডাঃ মোঃ খলিল উল্লাহ, দারস উপস্থাপন করেন তামিরুল মিল্লাত মহিলা মাদরাসার অধ্যক্ষ মুফতি মিজানুর রহমান। আলোচনা করেন ইসলামি ব্যাংক হাসপাতাল, কাকরাইল শাখার প্রশাসনিক ইনচার্জ আব্দুল আজিজ রিয়াদ, হাসপাতাল ইনচার্জ জনাব আবু জাফর মোঃ সালেহ এবং লিগ্যাল ইনচার্জ জনাব আবুল বারাকাত সহ অনেকে।

দাবদাহ: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৭ পরামর্শ

দেশজুড়ে বয়ে চলা দাবদাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবার জন্য জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহ) আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান রোববার এ নির্দেশনা জারি করেন। নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, শিশু ও গর্ভবতী মা, বয়স্ক ব্যক্তি, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, শ্রমজীবী ব্যক্তি, স্থূলকায় ব্যক্তি এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ, বিশেষ করে হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের সাবধান থাকতে হবে। বৈশাখ মাসের শেষদিকে দেশজুড়ে মাঝারি মাত্রার তাপপ্রবাহ দেখা যাচ্ছে। চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। শনিবার এ জেলায় তাপমাত্রার পারদ ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়। তবে রোববার সন্ধ্যার দিকে দেশের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টি হওয়ায় তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে।

এক দফা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে ইউনানীর শিক্ষার্থীরা

স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠনের দাবিতে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। বোর্ড থেকে নিবন্ধন নিলে পরবর্তী সময়ে উচ্চশিক্ষা আটকে যাবে, বলছেন আন্দোলনকারীরা। স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠনের এক দফা দাবিতে ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা, যা দুপুরের পরেও চলছিল। সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ফরহাদ রেজা বলেন, “আমাদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন দেওয়া থেকে শুরু করে সব ধরনের প্রশাসনিক কাজ হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে। “স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে আমাদের দাবি, অতি দ্রুত আমাদের জন্য একটা স্বতন্ত্র কাউন্সিল যেন করে দেয়।” আরেক শিক্ষার্থী মোহাইমেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এতদিন ধরে অস্থায়ী কাউন্সিল হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দায়িত্ব পালন করে আসছিল। কিন্তু গত মাসে মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক বোর্ডে পাঠানো হয়। এতে বলা হয়েছে, বোর্ড রেজিস্ট্রেশন দেবে। “কিন্তু বোর্ড ডিপ্লোমাদের রেজিস্ট্রেশন দেয়, তাদের নিয়ন্ত্রণ করে। বোর্ডের কোনো সুযোগ নেই ব্যাচেলর ডিগ্রিধারীদের নিয়ন্ত্রণ করার। বোর্ড থেকে আমরা নিবন্ধন নিলে পরবর্তী সময়ে আমাদের উচ্চশিক্ষা আটকে যাবে বা বাধাগ্রস্ত হবে।” তিন দাবিতে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাওয়ে ইউনানী শিক্ষার্থীরা তিনি আরও বলেন, “আমরা অনেকে বিদেশে পড়াশোনা করতে চাই, সেই সুযোগ কমে যাবে। এ কারণে আমাদের স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমবিবিএস, বিডিএস, নার্সিং-সবারই কাউন্সিল আছে। কাউন্সিল থাকলে আমরাও স্বীকৃত চিকিৎসক হতে পারব।” দাবি আদায়ে সোমবার স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এর আগে সোমবার তিন দফা দাবিতে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন তারা। সে সময় স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেদিন তাদের দাবি ছিল— মেডিকেল অফিসার (ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক) নিয়োগ যোগ্যতা সংক্রান্ত মতামতের চিঠি বাতিল,একটি পৃথক আইন প্রণয়ন এবং ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় স্বতন্ত্র কাউন্সিলর গঠন। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে দাবি পূরণের আশ্বাস পাওয়ার পর মঙ্গলবার তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান নেন।

এক বছরে স্বাস্থ্যের ‘১০ রোগ’ ধরেছে মন্ত্রণালয়

মন্ত্রণালয় বলছে, দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা মেধা, জ্ঞান ও যোগ্যতা থেকে বিচ্ছিন্ন; রয়েছে নৈতিকতার অবক্ষয় ও স্বার্থের দ্বন্দ্বও। দেশের স্বাস্থ্য খাতের ‘১০টি রোগ’ শনাক্ত করার কথা বলছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে স্বাস্থ্য খাতের অর্জন ও সংস্কার পরিকল্পনা তুলে ধরতে গিয়ে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সায়েদুর রহমান। এদিন ঢাকার শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেন, “স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ১০টি সংকটকে ‘রোগ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।” ১০ সংকটের তালিকায় রয়েছে— স্বাস্থ্য ব্যবস্থা মেধা, জ্ঞান ও যোগ্যতা থেকে বিচ্ছিন্ন; অতিরিক্ত কেন্দ্রীভূত স্বাস্থ্যব্যবস্থা, যেখানে ঢাকার বাইরে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ নেই বললেই চলে; বিশেষায়ণ নির্ভর চিকিৎসা এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সেবাকে উপেক্ষা; স্বচ্ছতার অভাব ও দায়মুক্তির সংস্কৃতি; উৎসাহ ও মনোবলহীন স্বাস্থ্য সেবাদানকারী। তালিকায় আরও রয়েছে— মনন ও মানসিকতার অভাব; নৈতিকতার অবক্ষয় ও স্বার্থের দ্বন্দ্ব; যন্ত্রপাতি, ওষুধের কাঁচামাল, এমনকি চিন্তা নিয়েও বিদেশের ওপর নির্ভরশীলতা; নেতৃত্বের দুর্বলতা এবং পরিকল্পনা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাব। লিখিত বক্তব্যে এসব সংকট তুলে ধরে সায়েদুর রহমান বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর স্বাস্থ্য খাতের সমস্যাগুলো বুঝতে প্রথমে তারা সাধারণ নাগরিকের কথা শুনেছেন। সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও অংশীজনের মতামতও নেওয়া হয়েছে। “আমাদের বিশ্বাস, স্বাস্থ্য খাতের যেসব সমস্যাকে আমরা রোগ হিসেবে চিহ্নিত করেছি, তার অনেকটাই সারাতে পারব। যেগুলো পুরোপুরি সারাতে পারব না, সেগুলোর নিরাময় প্রক্রিয়া অন্তত শুরু করে দিতে পারব, যেন ভবিষ্যতে যারা রাষ্ট্রক্ষমতার দায়িত্ব পাবেন, তারা শেষ করতে পারেন।” সমস্যা সমাধানে স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রণালয়ের নেওয়া বেশকিছু উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, মেডিকেল, ডেন্টালসহ স্বাস্থ্য শিক্ষায় সব ধরনের পরীক্ষায় কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হয়েছে। “আমাদের বিশ্বাস নিয়োগ ও পদায়ন হওয়া উচিত মেধা, অভিজ্ঞতা ও কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে। এ কারণে আমাদের পদায়ন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ও মেধাভিত্তিক করতে একটি স্বচ্ছ স্বয়ংক্রিয় মেট্রিক্স চালু করেছি।” তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতে বিপুল জনশক্তির প্রয়োজন হলেও পিএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গড়ে তিন বছর সময় লাগে। এজন্য স্বাস্থ্যের জন্য আলাদা পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠন করা হবে। “মানহীন মেডিকেল কলেজ দেশের জন্য ৩০-৪০ বছরের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে। সরকারি বেসরকারি এসব মেডিকেল কলেজ বন্ধ করা হবে।” সায়েদুর রহমান বলেন, মেডিকেল কলেজের হাসপাতালকে একাডেমিক এবং মেডিকেল সার্ভিস- এই দুই ভাগে ভাগ করা হবে। এতে মানুষ সত্যিকারার্থে সেবা পাবেন। শয্যা সংকট সমাধানে হাসপাতাল স্থাপন করা হবে। স্বাস্থ্য সেবার বিকেন্দ্রীকরণে নারী স্বাস্থ্যের জন্য দক্ষিণাঞ্চলে ইনস্টিটিউট, উত্তরাঞ্চলে স্বাস্থ্য নগরী ও প্রবীণ স্বাস্থ্যের জন্য পুর্বাঞ্চলে অনেকগুলো স্থান প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে চিকিৎসা সেবা বিকেন্দ্রীকরণ হবে, ঢাকামুখী প্রবণতা কমবে। সায়েদুর রহমান বলেন, সবচেয়ে উপেক্ষিত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতেও পরিকল্পনা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। এজন্য গ্রামাঞ্চলের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা এবং নগরাঞ্চলের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা আলাদা করা হবে। “প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। এটি একটি আদায়যোগ্য উপাদান হিসেবে সংবিধানে সংরক্ষিত হবে। এখন সাত হাজার চিকিৎসকের পদ খালি আছে, বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে তিন হাজার চিকিৎসক নেওয়া হবে। ৩২০০ নার্স নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।” সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূর জাহান বেগম বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আমাদের ঢেলে সাজাতে হচ্ছে। আমরা দেশের স্বাস্থ্যখাতে ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আগামী দিনগুলোতে এর সুফল পাওয়া যাবে বলে আশা করি।” ওষুধের প্রাপ্যতার প্রশ্নে কোনো ছাড় নয় সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া কিছু পদক্ষেপে ওষুধ শিল্পের সংকটে পড়ার কথা বলছে বাংলাদে ঔষধ শিল্প সমিতি। এ বিষয়ে সায়েদুর রহমান বলেন, সরকার কার স্বার্থ দেখবে- এটা খুবই জটিল বিষয়। “এই ভারসাম্যটা হচ্ছে, নাগরিকের জন্য মানসম্মত ওষুধ নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে ন্যায়সঙ্গত মুনাফার সুযোগ রাখতে হবে, যেন ওষুধ শিল্প একটা ভায়াবল অবস্থায় থাকে। আমি নিশ্চিত না ওনারা কেন এই কথা বলছেন। আপনারা যেকোনো ওষুধ কোম্পানির ডিক্লেয়ার্ড রিপোর্টে তাকান, আমরা এখন পর্যন্ত যা দেখেছি, কোথাও কোনো ওষুধ কোম্পানিকে অস্তিত্বের সংকটে পড়তে হয়নি।” সায়েদুর রহমান বলেন, সরকারের অবস্থান স্পষ্ট, কোনোভাবেই ওষুধ কোম্পানিগুলোকে ন্যায়সঙ্গত মুনাফার সুযোগবঞ্চিত করা হবে না। “আমরা তাদের ক্ষতি করতে চাইব না। আবার মানুষের কাছে ওষুধের প্রাপ্যতার প্রশ্নে কোনো ছাড়ও দিতে চাই না।” সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সারোয়ার বারী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. আবু জাফর ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. নাজমুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

  • 11
  • 0
© 2025 Dhumketu . All Rights Reserved. || Created by FixiFite WEB SOLUTIONS.