ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে লড়বেন উমামা-

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেল ঘোষণা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। এই প্যানেল থেকে ভিপি পদে নির্বাচন করবেন তিনি। সোমবার মনোনয়ন ফরম গ্রহণের শেষ দিনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন উমামা। জানা গেছে, প্যানেলে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে উমামা ফাতেমা, সাধারণ সম্পাদক জিএস পদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি আল সাদী ভূইয়া, এজিএস পদে সাংবাদিক সমিতির বর্তমান সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহী থাকবেন। উমামা ফাতেমা বলেন, আমরা যোগ্যতা দেখে আগামী মঙ্গলবার প্যানেল ঘোষণা করব। আমরা শিক্ষার্থীবান্ধব একটি ডাকসু প্যানেল ঘোষণা করব।
ডাকসুতে ৮ প্যানেলের লড়াই

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে জমে উঠেছে প্রচার-প্রচারণা। এবারের ডাকসু নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস), ইসলামী ছাত্রশিবির, স্বতন্ত্রসহ আট প্যানেলের মধ্যে লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন নামে চারটি পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যরা প্যানেল ঘোষণা করবে আজ। এদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিমত-বিশেষ কোনো প্যানেলে ভোট নয়, যোগ্য ব্যক্তিকেই পছন্দের তালিকায় অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এদিকে মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় শেষ হয়েছে। ডাকসুর ২৮টি পদের বিপরীতে ৬৫৮টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে। আর হল সংসদ নির্বাচনের জন্য ১৮টি হলে বিক্রি হয়েছে এক হাজার ৪২৭টি মনোনয়নপত্র। আজ বিকাল ৫টার মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে প্রার্থীদের। হলভিত্তিক মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে সর্বাধিক ১১২টি এবং বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে সর্বনিম্ন ৩৩টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে। এছাড়া সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ৭৩, জগন্নাথ হলে ৭৪, ফজলুল হক মুসলিম হলে ৮৬, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ১০০, রোকেয়া হলে ৫৩, সূর্যসেন হলে ৯৫, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ৮০, শামসুন নাহার হলে ৪২, কবি জসীমউদ্দীন হলে ১০৬, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে ৯৮, শেখ মুজিবুর রহমান হলে ৭৯, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ৩৯, অমর একুশে হলে ৯১, কবি সুফিয়া কামাল হলে ৮৮, বিজয় একাত্তর হলে ৯৬ এবং স্যার এএফ রহমান হলে ৮২টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, একজন প্রার্থী একাধিক মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন। তবে একজন প্রার্থী কেবল একটি পদেই নির্বাচন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে একটি পদ রেখে বাকিগুলোয় মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিতে হবে। প্রত্যাহার না করলে সব মনোনয়নপত্রই বাতিল বলে গণ্য হবে।
নির্বাচনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক পাঠানোর পরিকল্পনা জানাল আনফ্রেল

অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যৌথভাবে একটি আঞ্চলিক সম্মেলন আয়োজনের কথাও বলেছে সংস্থাটি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক মিশন পাঠানোর পরিকল্পনা জানিয়েছে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস (আনফ্রেল)। সংস্থাটির একটি প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। আনফ্রেলের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৈঠকের বিষয়টি জানিয়ে বলা হয়েছে, “আজকে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকটি ছিল অত্যন্ত ইতিবাচক ও গঠনমূলক। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বাংলাদেশে গণতন্ত্রের উন্নয়নে আনফ্রেলের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে আন্তরিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।” গেল ৫ অগাস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে আগামী ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন। পরের দিন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় চিঠি দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে ভোটের প্রস্তুতি নিতে বলেছে। সিইসির সঙ্গে বৈঠকে আনফ্রেল প্রতিনিধিদলটি স্থানীয় সুশীল সমাজের সংগঠনগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সংস্থার চলমান কর্মশালার অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা করে। অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যৌথভাবে একটি আঞ্চলিক সম্মেলন আয়োজনের কথাও বলেছে সংস্থাটি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আনফ্রেলের নির্বাহী পরিচালক ব্রিজা রোসালেস, ক্যাম্পেইন অ্যাডভোকেসি বিভাগের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার থারিন্দু আবেয়রাথনা ও বাংলাদেশ ইলেকশনস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট আফসানা এনায়েত এমি।
মানুষকে ফের জাগিয়ে তুলতে হবে, এটাই হবে কাজ: ফখরুল

“বাংলাদেশ এক যুগ সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে। আমাদের যুব সমাজ, তারুণ্যকে এগিয়ে আসতে হবে,” বলেন সাকি। জনগণকে আবার জাগিয়ে তোলার কথা বলেছেন বিএনপি মহসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার বিকালে ঢাকায় এক যুব সমাবেশে তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমান সাহেব যেটা তিন বছরে করেছিলেন, সেই রকম একটা নির্দেশনা তৈরি করে আমরা কী এই দেশটাকে সঠিক অর্থে সামনের দিকে নিয়ে যেতে পারব না? কী পারবেন না আপনারা? পারতে হবে।” দরকার হলে গ্রামে-গঞ্জে, হাটে-ঘাটে, খালের পাড়ে, খামারে-বন্দরে গিয়ে মানুষের মানুষের সঙ্গে কথা বলে মানুষকে উজ্জীবিত করার বিষয়ে জোর দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “মানুষকে জাগিয়ে তুলতে হবে আবার, এটাই হবে আমাদের কাজ।” তিনি বলেন, “এখানে একজন বলেছেন, পার্টি দরকার, যে পার্টি বিপ্লরে নেতৃত্ব দেবে, অর্থাৎ আমাদের তারেক রহমান সাহেবের যে বিপ্লব, সেই বিপ্লবকে সফল করবে, সেটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা। “আমরা দৃঢ়ভাবে দেশবাসী আশা করি যে, এই তরুণ প্রজন্ম সেই বিপ্লব সফল করবে।” বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা যদি জনগণের মন জয় করতে পারি, নির্বাচনে আমরা যদি আমাদের পক্ষে নিয়ে আসতে পারি, আমাদের তারেক রহমান সাহেবের সরকার যদি গঠন করতে পারি, তার প্রধান যে শর্ত হবে তা হচ্ছে, আমাদের ৩১ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে।” আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয়তাবাদী যুব দল-জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল-জাতীয়তাবাদী ছাত্র দল যৌথভাবে যুব সমাবেশ আয়োজন করে। ‘যুব সমাবেশের প্রত্যাশা ও বিএনপির পরিকল্পনা’ শীর্ষক এই সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সমাবেশে অতিথির বক্তব্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, “বাংলাদেশ এক যুগ সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে। আমাদের যুব সমাজ, তারুণ্যকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র ব্যবস্থা বদলিয়ে একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আমরা এগোতে যাচ্ছি। “এই কাজে যুব দল-স্বেচ্ছাসেবক দল-ছাত্র দলকে বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে, এই উপলব্ধি আপনাদের সকলকে করতে হবে। এই তরুণরা আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হবে।” ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, “চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিএনপি সোচ্চার হয়েছে, অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, অনেক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কুন্ঠাবোধ করেনি। “চাঁদাবাজি আর করতে দেয়া হবে না- এই হোক আন্তর্জাতিক যুব দিবসে ‘নতুন বাংলাদেশ’ এর শপথ।” সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী। যুব দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন ও ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখে- বিএনপির বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদি আমিন, সাংবাদিক মুক্তাদির রশীদ রুমি ও শরীফুল ইসলাম খান, নাট্য নির্মাতা মাসরুর রশীদ বান্নাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাফসীর, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান ও ছাত্র দলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
সংস্কার: আরপিও চূড়ান্তে মুলতবি সভায় ইসি

আরপিও সংস্কার ছাড়াও এদিন রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা নিয়ে আলোচনা হবে ইসিতে। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংস্কারের একগুচ্ছ সুপারিশ চূড়ান্ত করতে মুলতবি বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বেলা ১১টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সভা শুরু হয়। চার নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ও ইসি সচিব আখতার আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত রয়েছেন। এ দিনের আলোচ্যসূচিতে আছে- এর আগে বৃহস্পতিবার দিনভর আলোচনায় কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলেও আরপিও নিয়ে কমিশন আগাতে পারেনি। নির্বাচন কমিশার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, সেদিন কমিশন সভায় তিনটি বিষয় আলোচ্য ছিল। সেগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক দল ও দল আচরণ বিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে; আগামী সপ্তাহে তা চলবে বলে জানিয়েছিলেন এ নির্বাচন কমিশনার। আরপিও সংশোধন প্রস্তাবের মধ্যে সংস্কার কমিশনের সুপারিশসহ একগুচ্ছ প্রস্তাবনা পযালোচনা করা হয়েছে। ছোটোখাটো সংস্কারসহ প্রায় তিন ডজন সংশোধন থাকতে পারে। প্রবাসীদের পোস্টাল ব্যালটের বিষয়টিও যুক্ত করা হবে এ সংশোধনীতে। এছাড়া আচরণবিধিতে এআই সংশ্লিষ্ট অপব্যবহার রোধে বিধিনিষেধ যুক্ত করা হতে পারে। নির্বাচন কমিশন বলেছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে তাও আরপিও তে যুক্ত করা হতে পারে। আইনি সংস্কারের প্রস্তাবনা ইসি যখন অনুমোদন দেবে তারপরই সরকারের কাছে পাঠাবে ইসি সচিবালয়। নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবন চূড়ান্ত হলে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হবে। এরপর তা উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। সরকারের সায় পেলে আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হবে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রোজা শুরুর আগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেওয়ার পরদিন গত ৬ অগাস্টে তার দপ্তর থেকে এ চিঠি দেওয়া হয়। আর এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানানোর আনুষ্ঠানিকতা সারা হয়। এখন নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট দিনতারিখসহ তফসিল ঘোষণা করবে। ডিসেম্বরের শেষার্ধে এই তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে বলে ইতোমধ্যে ইংগিত দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।